হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যাঁর জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রের সৃষ্টি হতো না। গতকাল ১৭ মার্চ ছিল এই মহান নেতার জন্মদিন। এ বছর তাঁর জন্মশতবার্ষিকী। এ উপলক্ষে সরকার ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত সময়কে ‘মুজিব বর্ষ’ ঘোষণা করেছে। দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস ‘মুজিব বর্ষ’ উদ্যাপনে বছরব্যাপী নানাবিধ অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর শুভ উদ্বোধন ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপন করেছে জাপানের টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস।
গতকাল মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) সকালে অনুষ্ঠানের শুরুতে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ারস ড. শাহিদা আকতার। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং তাঁদের আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

চার্জ দ্য অ্যাফেয়ারস ড. শাহিদা আকতারের নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ছবি: টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসঅনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ারস ড. শাহিদা আকতারের নেতৃত্বে দূতাবসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বাণী পাঠ করা হয়।
চার্জ দ্য অ্যাফেয়ারস ড. শাহিদা আকতার সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবন সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা ও মুক্তির দূত। দেশে-বিদেশে যে যেখানেই আছেন, তিনি সবাইকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।

১৭ মার্চ সকালে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের ড. শাহিদা আকতার। ছবি: টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসপরে বঙ্গবন্ধুর কর্মজীবন, ত্যাগ ও সংগ্রামের ওপর উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠান হয়। জাপানপ্রবাসী বাংলাদেশিরা এ আলোচনায় অংশ নেন। এ সময় তাঁরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ভিশন-২০৪১’ বাস্তবায়ন করে দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধিশালী করার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া জাতির জনকের জীবন ও কর্মের ওপর একটি বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালনের উদ্দেশ্যে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনকে বঙ্গবন্ধুর ছবি–সংবলিত বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন দ্বারা সজ্জিত করা হয়। উল্লেখ্য, চলমান কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিস্তার রোধকল্পে সতর্কতা হিসেবে এ বছর অনুষ্ঠানটিতে শিশু–কিশোরদের অংশগ্রহণসহ ইতিপূর্বে গৃহীত বিভিন্ন করমসূচি সীমিত করা হয়েছে। সংবাদ বিঞ্জপ্তি।